হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, আমাদের নেতা ক্বাসিম সুলেইমানী থেকে সৈয়দ হাসান নাসরুল্লাহ পর্যন্ত অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন আমাদের ক্বৌম। তবে এবার আমাদের রাহবার এ মুয়াজ্জাম কে একটু সতর্ক ও টাইট নিরাপত্তায় রাখা উচিত।
আমরা একর পর আয়াতুল্লাহ ও কমান্ডার হারাচ্ছি। আল্লাহ বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও পরিবার পরিজন ও ক্বৌমের প্রত্যেক মানুষের প্রতি সমবেদনা রইল। আমি বা আমরা বুঝতে পারছি না এত সিকিউরিটি থাকা স্বত্তেও কি করে সফল হামলা? ২/ এয়ার স্ট্রাইক হলো লেবাননে আকাশ ব্যবহার হলো হিজবুল্লাহ জানতেও পারলো না কেন? ৩/ কোনো নিরাপত্তা গাফিলতি না গুপ্তচর এর জন্য এই পরিণতি?
আমার ধারণা হয়তো আমাদের ভিতর থেকে আক্রমণ করার পথ সফল করে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এগুলি চিহ্নিত করে এগোনোই ভালো। কারণ আগে যে যে সফল হামলা হয়েছে তার জন্য দুশ্মন নয় আমাদের মধ্যকার গদ্দারদের জন্যে হয়েছে। ক্বাসিম সুলেইমানী উপর আক্রমণ সফল, প্রেসিডেন্ট রাইসি র উপর আক্রমণ সহ হাসান নাসরুল্লাহ পর্যন্ত কোথাও কোনো ভুল হয়নি দুশ্মনদের এ থেকে বোঝা যায় আমাদের ভিতর ঘুণ ধরেছে, কখনো আমরা সফল হতে পারবো না। একমাত্র ইমাম আ: এর জহুর না হবে। জনাবে মুসলিম বিন আক্বীল আ: এর শাহাদৎ দেখুন, ৩০ হাজার বাইত করলো অথচ তিনি একা হয়ে পড়েন। তার মধ্যে অন্য মজহাব থেকে আসা ব্যক্তিরা যেমন ছিলেন তেমন প্রকৃত শীয়া মাজহাব এর লোকও ছিলেন। বাইত করা ব্যক্তিদের কথা বাদ দিলাম, যারা প্রকৃত ছিলো তারাও বেপাত্তা হয়ে যায়। সেই সিলসিলা চলছে আজ ও, সুতরাং বাস্তব সত্য যে নিজের লোকের সহযোগিতা না হলে সম্ভব নয় এত বড় মিশন সফল করা।
আসুন দোয়া করি-
ইয়া আল্লাহ ইজরায়েল সহ আমেরিকা ধ্বংস হোক, বায়তুল মুকাদ্দাস ও মসজিদে আক্বসা স্বাধীন হোক, নীরিহ প্যালেস্টাইন, গাজা, লেবানন, ইয়োমেন মানুষের রক্ষা করো, আমাদের তামাম যোদ্ধা হিজবুল্লাহ, হুতি, হামাস ও সত্য প্রতিষ্ঠিত করার জন্য লড়াই করছে, আয়াতুল্লাহ আলি খামেনাই সহ সকল মারজায়ে কেরামদের কে সুস্থ সবল রেখো তার হেফাজত করো।
সৈয়দ জন মহম্মদ জায়দী।